Join Our Telegram Group! কাব্যিক প্রেমের চিঠি ও সাহিত্যিক প্রেমের চিঠি - onely you-Tech news bangla

কাব্যিক প্রেমের চিঠি ও সাহিত্যিক প্রেমের চিঠি

কাব্যিক প্রেমের চিঠি ও সাহিত্যিক প্রেমের চিঠি

কাব্যিক প্রেমের চিঠি ও সাহিত্যিক প্রেমের চিঠি

ঠক ঠক ঠক __?
কে___?

চিঠি

কার চিঠি এলো? এই যে কৌ/তূ/হল, আ/কু/ল/তা—এই অনুভূতির কোনো ভাষা নেই।

একটা সময় ছিল—মানুষের সুখ-দুঃ/খ, আ/বে/গ-অনুভূতি, প্রেম-ভালোবাসা, পরিবেশ-পরিস্থিতি সবই চিঠিতে প্রকাশ করা হতো। প্রিয় মানুষের একটা চিঠির জন্য অপেক্ষা দীর্ঘ সময় ধরে। 

একমাত্র চিঠিই ছিল তখন ভাবনা, উপলব্ধি ও যোগাযোগের পারস্পরিক সেতুবন্ধন। ডাকপিয়ন বিলি করে বেড়াতেন খাম-পোস্টকার্ড। খাম-পোস্টকার্ডে বড় বড় করে ঠিকানা লেখা থাকত। ডাকপিয়নরা সেই ঠিকানা ধরে বাড়ি বাড়ি গিয়ে চিঠি পৌঁছে দিতেন। এখন এসব যেন !

প্রযুক্তির প্রসার ঘটেছে, মানুষের ক/ষ্ট কমেছে, অপেক্ষার অবসান হতে শুরু করেছে, কিন্তু চিঠি আদান-প্রদানের দিনগুলোর সেই আবেগকে ধরে রাখার কোনো ফর্মুলা প্রযুক্তি আমাদের দিতে পারেনি। 

‘প্রযুক্তি মানুষকে দিয়েছে বেগ, কেড়ে নিয়েছে আবেগ’ কথাটি কোনো অংশেই মি/থ্যে নয়। মানুষের এই আবেগ-অনুভূতির কত বিবর্তন, কত পরিবর্তন! কখনো কি আর আমরা ফিরে পাব হলুদ কিংবা সাদা খামে ভরা চিঠি খোলার সেই মিষ্টি অনুভূতি!

চিঠির কালো অক্ষরগুলোয় কি মায়া ভালোবাসা মিশে থাকত। চিঠির শব্দের ঘ্রান নিয়েই কত মানুষ কত রাত নির্জনে কাটিয়েছে। কত চোখ শুধু শব্দের পর শব্দের গাঁথুনির দিকে তাকিয়ে চোখ অশ্রুতে ভাসিয়ে দিয়েছে। সেই আবেগ আর ভালোবাসা আজ কোথায় গেলো!
আহা রে চিঠি পাওয়ার সেই ব্যা/কুল/তা আজ কই?

প্রিয় স্নেহভাজনেশু...!

কি চিঠি লিখবো বুঝতে পারছিনা। চিঠি হারিয়ে যাওয়ার সাথে সাথে হা/রি/য়ে গেছে চিঠি লেখার নিয়মকানুনও।

চিঠির নাম করে চিঠির বহির্ভূত কতগুলো স্মৃতিচারণ করে ফেললাম। রাত বারোটার কাটা ছুঁয়ার সাথে সাথে গুগল ম্যাপ জানান দিয়েছে আজ ২৩শে জুলাই। শুনেছি আজকের দিনে নাকি তুমি অনেক কেঁ/দে/ছিলে! আর সবাই হেসেছিল!

কালের পরম্পরায় তোমার জন্য যেনো সবার মুখে এই হাসি অটুট থাকে। জ/ন্ম, মৃ/ত্যু, বিয়ে, এই তিন জিনিস আল্লাহ তায়ালার হাতে। আজকের দিনে আল্লাহ তায়া’লার ইচ্ছাতেই আশরাফুল মাখলুকাত হিসেবে পৃথিবীতে এসেছিলে। 

 তার ইচ্ছাতেই আবার চলে যেতে হবে। যতদিন এখানে অবস্থান করবে ততদিন এই দুনিয়ার মোহ তোমাকে বারবার মোহিত করবে। দুই দিনের এই ধোঁকার দুনিয়ার ফাঁ/দে পা না দিয়ে সারাজীবন সেই আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের চেষ্টা কর যিনি তোমাকে আজ এই পৃথিবীর আলো দেখার তৌফিক দিয়েছিলেন। 

সর্বদা খাঁটি মুমিন এবং একজন ইমানদার হিসেবে নিজেকে গড়ে তুলার চেষ্টা কর। সামনের দিনগুলো যেনো সুন্দর সুনির্মল হয়। দোয়া এবং শুভকামনা রইল।

আরো পড়ুন: প্রথম প্রেমের প্রপোজ-রোমান্টিক প্রপোজ লেটার

প্রিয় স্নেহাশিস বইপোকা..!

তোমার মতো বইপ্রেমী ছেলে খুব কমই দেখা যায়। মনপ্রাণ দিয়ে এত এত বই কিনো। আবার সেই বইএর সাথে অভিমানও করো। বইএর সাথে অভিমান করে দূরত্ব বাড়ানো ঠিক না। এতে বইগুলো কষ্ট পায়। সময় সুযোগ পেলে বই পড়াটা পূর্বের ন্যায় আবার নিয়মিত করার আবদার রইল।

চিঠির প্রেরককে খোঁজে লাভ নেই। চিনবে না তাকে।। কোনো এক অচেনা আগন্তুক হবে। যে তোমাকে খুব ভালো ভাবে চিনে। কিন্তু তুমি তাকে চিনো না।
চিঠির ভাষা খুব অগোছালো হয়েছে। আজ লেখক/ লেখিকা নই বলে সুন্দর করে চিঠি লিখতে পারি না।
সবকিছু মিলিয়ে ছোটখাটো ত্রুটিগুলো মনে নিও না।
ফি আমানিল্লাহ।

____শুভেচ্ছান্তে.....
______কেউ একজন....
____২৩/৭/২৩

Next Post Previous Post